ফ্লোসোলারের সাথে বাংলালিংকের অংশীদারিত্ব
১শ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চলবে ১৫ হাজার নেটওয়ার্ক সাইট
প্রকাশ: ১৫:৪৭, ১২ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৫:৫০, ১২ অক্টোবর ২০২৫

ছবি:বাংলালিংক
নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ১০০ মেগাওয়াট সক্ষমতা সম্পন্ন সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করবে বাংলালিংক। সম্প্রতি, এ জন্য ফ্লোসোলার সল্যুশনস লিমিটেডের সাথে সমঝোতা স্মারক সই করেছে অপারেটরটি।
সৌরবিদ্যুতের এই কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশজুড়ে বাংলালিংকের টেলিকম নেটওয়ার্কে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। চুক্তি অনুযায়ী ফ্লোসোলার ও সংশ্লিষ্ট অংশীদারেরা এ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির যথাযথ উন্নয়ন, অর্থায়ন ও পরিচালনায় কাজ করবে। অন্যদিকে, বাংলালিংক দীর্ঘমেয়াদী ‘কর্পোরেট পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট’ (সিপিপিএ) -এর আওতায় উৎপাদিত বিদ্যুৎ কিনবে।
এ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলালিংক দেশের ১৫ হাজারেরও বেশি বিটিএস সাইট, ডেটা সেন্টার ও স্পেশাল পারচেজ ভেহিকল সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে পরিচালনা করবে। অপারেটরটি মোট জ্বালানি ব্যবহারের ৬০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ফলে, এ প্রকল্পটি প্রচলিত জীবাশ্ম-জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাবে এবং স্থানীয় পর্যায়ে জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করবে।
সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হলে দেশে বছরে প্রায় ৭৬ হাজার টন কার্বন নিঃসরণ হ্রাস পাবে, যা বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে জ্বালানি ব্যবস্থার পরিবর্তন আনবে এবং কমাবে বাংলালিংকের কার্বন নিঃসরণ।
বাংলালিংকের চিফ টেকনোলজি অ্যান্ড ইনফরমেশন অফিসার হুসেইন টার্কার বলেন, বাংলালিংকে আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফ্লোসোলারের সাথে অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতের বড় আকারের নবায়নযোগ্য প্রকল্পগুলোর জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, এর মাধ্যমে আমরা প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও দূরদর্শিতার সঠিক সমন্বয়ে কম কার্বন নিঃসরণ ও নিরাপদ জ্বালানির ভবিষ্যতের দিকে দ্রুত এগিয়ে যেতে পারব।
ফ্লোসোলার সল্যুশনস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা আজিম কাসেম খান বলেন, উদ্ভাবনী প্রকল্প কাঠামো ও দীর্ঘমেয়াদি কর্পোরেট ‘পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্টের’ মাধ্যমে আমরা একটি পরিমাপযোগ্য সৌরবিদ্যুৎ সমাধান প্রদান করতে চাই, যা কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার কৌশলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ক্ষেত্রে জাতীয় লক্ষ্যপূরণে অবদান রাখবে।