১২ রোগীর ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন
ব্রেনে নিউরালিংকের চিপ বসাতে আগ্রহী ১০ হাজার পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষ
টেকস্ক্রল
প্রকাশ: ১১:০৯, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

নিউরালিংকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ডি. জে. সিও জানান, বর্তমানে নিজেদের মস্তিষ্কে এই ব্রেন-কম্পিউটার ইন্টারফেস চিপ বসানোর জন্য অপেক্ষায় আছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। চলতি সপ্তাহে মর্গান স্ট্যানলি প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে, কোম্পানির এ তালিকা প্রকাশ করেন সিও। ওই প্রতিবেদন এ প্রযুক্তির নৈতিক প্রভাব সম্পর্কেও সতর্ক করেছে।
২০২৫ সালের শুরুতে নিজেদের ওয়েবসাইটে ‘রোগী নিবন্ধন কেন্দ্র’ চালু করে নিউরালিংক। যাতে পুরো বিশ্বের মানুষ এ পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করতে পারেন। এ পর্যন্ত ১২ জন রোগীর ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করেছে ইলন মাস্কের কোম্পানিটি। এসব রোগীরা এখন নিজেদের চিন্তার মাধ্যমে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণে নিউরালিংক ডিভাইস ব্যবহার করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছরের শেষ নাগাদ আরও ১৩ জনের মস্তিষ্কে এই চিপ বসবে।
বর্তমানে কেবল মোটর নিউরন রোগ বা মেরুদণ্ডে আঘাতজনিত পক্ষাঘাতে ভুগছেন এমন রোগীরাই এ পরীক্ষামূলক প্রকল্পে অংশ নিতে পারছেন। তবে মাস্কের দাবি, ভবিষ্যতে এসব চিপের সংস্করণ এমনভাবে তৈরি করা হবে, যাতে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা না থাকলেও লোকজন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের সঙ্গে এক ধরনের সহাবস্থান বা মানসিক সংযোগ স্থাপন করতে পারেন।
এ প্রযুক্তি সম্পর্কে মাস্ক আরও বলেছেন, ভবিষ্যতে নিউরালিংক চিপের মাধ্যমে সরাসরি মস্তিষ্কে গান শোনা, অন্ধ ব্যক্তিদের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেওয়া এবং টেলিপ্যাথির মাধ্যমে সুপার হিউম্যান স্তরের যোগাযোগ সম্ভব হতে পারে।
জুলাইয়ে এক লাইভ অনুষ্ঠানে মাস্ক বলেছিলেন, একসময় এমন পর্যায়েও পৌঁছানো সম্ভব হতে পারে, যেখানে কেউ নিজের স্মৃতি মস্তিষ্ক থেকে আপলোড করে সংরক্ষণ এবং পরে সেটি কোনো রোবটে ডাউনলোড করতে পারবেন।