রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫

| ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২

চীন ও রাশিয়াকে টেক্কা দেয়ার চিন্তা যুক্তরাষ্ট্রের

চাঁদে চীন ও রাশিয়ার আন্তর্জাতিক স্টেশনের পরিকল্পনা, মহাকাশে মার্কিন নেতৃত্বের জন্য সরাসরি চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। চাঁদে এ দুই দেশকে ঠেকাতে নির্ভরযোগ্য শক্তি অর্জনের মাধ্যমে সামরিক, বৈজ্ঞানিক ও বাণিজ্যিক কার্যকলাপ পরিচালনা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

প্রকাশ: ০৩:০৭, ৭ আগস্ট ২০২৫

চাঁদে চীন ও রাশিয়ার আন্তর্জাতিক স্টেশনের পরিকল্পনা, মহাকাশে মার্কিন নেতৃত্বের জন্য সরাসরি চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। চাঁদে এ দুই দেশকে ঠেকাতে নির্ভরযোগ্য শক্তি অর্জনের মাধ্যমে সামরিক, বৈজ্ঞানিক ও বাণিজ্যিক কার্যকলাপ পরিচালনা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে পারমাণবিক চুল্লি বসাবে নাসা
চাঁদে টানা দুই সপ্তাহ রাত থাকে। এজন্য সেখানে কাজ করা কঠিন। ফলে পারমাণবিক চুল্লির মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ চাঁদে আবাসস্থল, জীবনধারণ ও খনিজ সম্পদ আহরণের সরঞ্জামের জন্য নিরবচ্ছিন্ন শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করবে। নাসা আগে ৪০ কিলোওয়াট উৎপাদন করতে সক্ষম চুল্লির নকশা করলেও, এখন তা ১০০ কিলোওয়াট মডেলে সম্প্রসারণ করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পারমাণবিক শক্তি চাঁদের ধুলা বা রেগোলিথ থেকে অক্সিজেন ও পানির মতো সম্পদ আহরণকে সহায়তা করতে পারে। এসব উপাদান রকেটের জ্বালানি উৎপাদন ও পৃথিবী থেকে দূরে মানবজীবন টিকিয়ে রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
চাঁদে নিজেদের উপস্থিতির জন্য চীন ও রাশিয়ার আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণাকেন্দ্র আইএলআরএস কাজ করছে। এই কেন্দ্র মহাকাশে মার্কিন নেতৃত্বের জন্য সরাসরি চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। চীন ও রাশিয়া উন্নত রোবোটিকস ও সম্পদ সংগ্রহের জন্য চাঁদে ঘাঁটি স্থাপনের কাজ করছে। চীন ও রাশিয়াকে ঠেকাতে চাঁদে নির্ভরযোগ্য শক্তি অর্জনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক, বৈজ্ঞানিক ও বাণিজ্যিক কার্যকলাপ পরিচালনা করতে চায়।
নতুন পরিকল্পনা অনুসারে নাসা চাঁদে একাধিক আবাসস্থল ও বিদ্যুৎ–ব্যবস্থা নির্মাণে কাজ শুরু করেছে। বেসরকারি মহাকাশ সংস্থার মাধ্যমে এই কাজ এগিয়ে নিতে চায় নাসা। এজন্য চাঁদে চুল্লি তৈরির পাশাপাশি পুরোনো আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন প্রতিস্থাপনে কাজ শুরু করেছে তারা। কমপক্ষে দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে পারমাণবিক চুল্লি তৈরির কাজে যুক্ত করতে চায় নাসা।

এ সম্পর্কিত খবর
আরও পড়ুন