হার্ভার্ডের গবেষণায় ভিন্ন তথ্য
কাজ সহজের বদলে উল্টো সময় অপচয় হচ্ছে এআই টুল ব্যবহারে
টেকস্ক্রল
প্রকাশ: ১০:৩৬, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ধরা যাক একজন ব্যবহারকারী এআই চ্যাটবটকে একটি চিটি লিখে দিতে বললেন। ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই সুন্দর, সাজানো-গোছানো উত্তর চলে এলো। কোনোরকম যাচাই ছাড়াই সে চিঠিটি অন্যকে পাঠিয়ে দিলেন ব্যবহারকারী। পরে দেখা গেল বেশকিছু বানানে ভুল রয়েছে। এছাড়া বাক্যের গঠনেও খুব কমই স্থান পেয়েছে মানবিক আবেগ। এ সমস্যা থেকে বাঁচতে, চিঠিটি পুনরায় যাচাই করে, ভুল শুধরে, বাক্য ঠিক করে আবার পাঠাতে হবে ব্যবহারকারীকে।
এটি একটি কল্পিত গল্প ধরে নেয়া যেতে পারে। এবার আসি আসল বাস্তবতায়।
অনেক প্রতিষ্ঠান এখন কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল ব্যবহার করছে। তবে হার্ভার্ডের নতুন একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, এ প্রযুক্তি আশানুরূপ সুবিধা দিতে পারছে না। এই গবেষণায় যে বাধা চিহ্নিত করা হয়েছে তার নাম দেয়া হয়েছে ওয়ার্কস্লপ। এর মানে, এআই দ্বারা সম্পন্ন করা একটি কাজ সুন্দর-সাজানো মনে হলেও বাস্তবে এটি কর্মীদের কাজ আরো বাড়ায়।
যৌথভাবে এ গবেষণা পরিচালনা করেছে হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ, স্ট্যানফোর্ড সোশ্যাল মিডিয়া ল্যাব এবং বেটারআপ ল্যাবস।
কর্মীরা এআই ব্যবহার করে সুন্দরভাবে ফরম্যাট করা স্লাইড, প্রতিবেদন তৈরি করেন। কিন্তু এসব কনটেন্টে প্রায়ই অসম্পূর্ণ, অপ্রয়োজনীয় কিংবা প্রকল্পের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক তথ্যের অভাব দেখা যায়। ফলে এটি সংশোধন বা আবার করা বাধ্যতামূলক হয়ে যায়।
গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ১ হাজার ১৫০ জন পূর্ণকালীন কর্মীর ওপর। এ জরিপ অনুযায়ী, এক মাসে ৪০ শতাংশ কর্মীকে ওয়ার্কস্লপ মোকাবেলা করতে হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কনটেন্টগুলোর প্রায় ৮৫ শতাংশই কাজে লাগেনি বা ঠিক করতে হয়েছে। প্রায় ১৮ শতাংশ ব্যবস্থাপকও রিপোর্টের আকারে ওয়ার্কস্লপ পেয়েছেন।
প্রতিবার ওয়ার্কস্লপ সংশোধন করতে গড়ে কর্মীরা প্রায় ২ ঘণ্টা সময় নিয়েছেন, যা কোম্পানির জন্য বাড়তি খরচ ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণ হয়েছে।
যদি প্রতিষ্ঠানগুলো এআই ব্যবহারের সঠিক নির্দেশিকা ও প্রশিক্ষণ না দেয়, তাহলে ভালোর চেয়ে খারাপ বেশি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।