প্রতিযোগিতায় অ্যাপল, মেটা ও গুগল
সায়েন্স ফিকশনের সেই লাইভ ট্রান্সলেটর এখন বাস্তব
টেকস্ক্রল
প্রকাশ: ১২:৩২, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিজ্ঞান কল্পকাহিনী এক সময় বাস্তবতার মুখ দেখে। একশো ভাগ সত্য না হলেও, বিজ্ঞানের বহু আবিষ্কারের পেছনে এমনটি দেখা গেছে। এক সময় সায়েন্স ফিকশন মুভিতে অনুবাদের জন্য বিশেষ ডিভাইসের ব্যবহার দেখা গেছে। সেসব আরও আগের কথা। এখন সময় এসেছে অনুবাদ যন্ত্রগুলোর বাস্তব রূপ দেখার। কারণ প্রযুক্তি জায়ান্টরা এর পেছনে ছুটছে আরও আগে থেকেই।
আলটিমেট একটি ট্রান্সলেটর বানানোর প্রতিযোগিতার দৌড়ে আছে গুগল, মেটা ও অ্যাপল। বলা যায় চূড়ান্ত সাফল্যের কাছাকাছি রয়েছে তারা।
যেদিন আইফোন-১৭ উন্মোচন হয়, সেদিন এয়াারপডস প্রো-থ্রির একটি ভিডিও দেখায় অ্যাপল। সেখানে দেখা যায়, ইংলিশ ভাষার এক পর্যটক স্প্যানিশ ভাষার বিক্রেতার কাছ থেকে ফুল কিনছেন। বিক্রেতা পুরো কথাবার্তা নিজ ভাষায় চালিয়ে গেলেও, পর্যটক তা ইংলিশেই শুনছেন। মানে একেবারে সঙ্গে সঙ্গে ট্রান্সলেট করা হয়ে যাচ্ছে।
মূলত এআই চ্যাটবট বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গেই রিয়েল টাইম ট্রান্সলেটরের যুগ শুরু হয়ে গেছে।
অ্যাপলের এয়ারপডস প্রো থ্রি ২৫০ ডলারের। এর ট্রান্সলেশন ফিচার ব্যবহার করতে হলে, অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স সফটওয়্যার সমর্থন করে এমন আইফোনের সঙ্গে এটিকে যুক্ত করতে হবে। কারণ, ট্রান্সলেশনের জন্য ডিভাইসটি ইন্টারনেট ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে।
গত এক বছরে গুগল আর মেটাও তৎক্ষণাৎ অনুবাদে সক্ষম ডিভাইস উন্মোচন করেছে। গুগলের পিক্সেল-১০ ফোনে ‘ভয়েস ট্রান্সলেট’ ফিচার আছে। এতে ফোন কলে বক্তার ভাষা, নিজের ভাষায় শুনতে পারেন শ্রোতা।
তবে গুগল আর অ্যাপলের ডিভাইসে এখন পর্যন্ত একটি বড় পার্থক্য রয়ে গেছে। গত আগস্টে গুগল যে ডেমো দেখায়, তাতে দেখা যায়, একজন বিনোদন শিল্পীর কথার অনুবাদে সেই শিল্পীর কণ্ঠই ব্যবহার করা হয়েছে। অ্যাপলের ক্ষেত্রে স্বর অনুকরণের এমন বিষয় দেখা যায়নি।
এদিকে মেটা মে মাসে ঘোষণা করে যে, রে-ব্যান মেটা চশমার স্পিকারের মাধ্যমে অন্যের ভাষা অনুবাদ করা যাবে। কথোপকথনের অন্য পক্ষ ব্যবহারকারীর ফোনে অনুবাদ করা উত্তর দেখতে পাবেন।