কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে গুগলের অগ্রগতি
সুপারকম্পিউটারের চেয়ে ১৩ হাজার গুণ দ্রুত কাজ করে
টেকস্ক্রল
প্রকাশ: ১৩:০৪, ২৪ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১১:৪৯, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
 
							কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে গুগলের বড় অগ্রগতি
কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ?
কোয়ান্টাম কম্পিউটিং দিয়ে কি করা যাবে? এটা এভাবে বললে বরং ভালো হয় যে, কি করা যাবে না? বলা যায় এখন আমরা যে উন্নত প্রযুক্তি দেখছি তাকেও ছেলেখেলা মনে হতে পারে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং বাস্তব হলে। আর সেটি করার পথে একটা বড় লাফ দিলো গুগল।
কিভাবে?
উইলো নামে একটি কোয়ান্টাম চিপ গত বছর চালু করেছিলো গুগল। এটি দিয়েই হয় এক বছরের গবেষণা। এই গবেষণা থেকে গুগলের দাবি, কোয়ান্টাম কম্পিউটারের জন্য এখন বাস্তব জীবনে ব্যবহার উপযোগী অ্যালগরিদম বানানো যেতে পারে।
এই গবেষণায় ‘কোয়ান্টাম ইকোস’ নামে একটি অ্যালগরিদম বানিয়েছে গুগল। কোম্পানিটি বলেছে, এই অ্যালগরিদম কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের ‘কিউবিট’ ধারণার আরও একটি প্রমাণ। কিউবিটকে কোয়ান্টাম কম্পিউটারের একক হিসেবে চিন্তা করা যেতে পারে। বর্তমান কম্পিউটার সিস্টেম বিট ব্যবহার করে। যেখানে কোনো তথ্য কেবল ১ এবং ০ দিয়ে দেখানো হয়। কিউবিট একই সঙ্গে ১ এবং ০ উভয় অবস্থায় থাকতে পারে। এছাড়া কিউবিট একে অপরের সঙ্গে এমনভাবে যুক্ত হতে পারে যে, দূরে অবস্থান করলেও, একটির সামান্য পরিবর্তনে অন্যটির ওপর প্রভাব পড়ে।
গুগল বলেছে, ইকোস অ্যালগরিদমটি, একটি কোয়ান্টাম ব্যবস্থায় বিভিন্ন অংশ কিভাবে একে অপরের সঙ্গে মেলামেশা বা মিথষ্ক্রিয়া করে। এখান থেকে পাওয়া তথ্য অন্য কোয়ান্টাম কম্পিউটারেও ব্যবহার সম্ভব হতে পারে।
নতুন অ্যালগরিদমটি উইলো চিপে ব্যবহার করলে, প্রচলিত সবচেয়ে দ্রুতগতির ক্ল্যাসিকাল সুপার কম্পিউটারের চেয়ে ১৩ হাজার গুণ দ্রুত কাজ করতে পারে।
এ সপ্তাহেই বিশ্ববাজারে আসছে ডেস্কটপ এআই সুপার কম্পিউটার
গুগল জানায়, তারা উইলো চিপের বিভিন্ন কিউবিটে অতি সতর্কতার সঙ্গে একটি সংকেত পাঠায়। যেখানে একটি কিউবিটকে সামান্য নাড়িয়ে এবং পরে সংকেতের অগ্রগতিকে উল্টে দেয়া হয় যেনো যে প্রতিধ্বনি বা ইকো ফিরে আসে, তা শোনা যায়। এই প্রতিধ্বনি খুবই ছোট হয়। একে কোয়ান্টাম তরঙ্গ ব্যবহার করে আরও বড় করা হয়। এ থেকে কোয়ান্টাম ব্যবস্থার অতি সূক্ষ্ম তথ্যও ধরতে সফল হয়েছে গুগল। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে অণুর জটিল কাঠামোর মডেল তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যাপক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং।
কি হতে যাচ্ছে তাহলে?
আপাতত গুগলের ধারণা, আগামী ৫ বছরের মধ্যে ব্যবহার উপযোগী কোয়ান্টাম অ্যালগরিদম চলে আসতে পারে। এর পুরোপুরি প্রয়োগ শুরু হলে, এখনকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আরও বহুগুণে শক্তিশালী হবে, ওষুধ শিল্পে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে, বর্তমান এনক্রিপশন পদ্ধতি বিলুপ্ত হয়ে অতি শক্তিশালী সিস্টেম তৈরি হবে, অর্থনীতির জটিল মডেল তৈরি করে নির্ভুল ভবিষ্যতবাণী দেয়া সম্ভব হবে এবং বৈজ্ঞানিক জটিল মডেল যা এখন তৈরি করা যায় না তাও দেখা যাবে স্ক্রিনে।
আরও দেখুন :এআই নিয়ে ভয়াবহ পরিণতির সতর্কবার্তা দিলেন- জেমস ক্যামেরন
সূত্র: এনগ্যাজেট

 
															 
															 
															 
															 
															 
															 
															 
															 
															 
															 
					 
					 
					