আধুনিক প্রযুক্তিতে উন্নতির আশা
বাংলাদেশেও চালু হল সেমিকন্ডাক্টর তৈরির প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট
টেকস্ক্রল
প্রকাশ: ১১:৫১, ১২ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১২:৫২, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
বিশ্বের ৮টি দেশে কাজ করে উল্কাসেমি
দ্রুত বাড়ছে সেমিকন্ডাক্টরের বাজার
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কম্পিউটার, স্মার্টফোন কিংবা আধুনিক গাড়ির মূল শক্তি চিপ, যা তৈরি হয় সেমিকন্ডাক্টরের ওপর নির্ভর করে। এছাড়া সাধারণ ইলেকট্রনিক যন্ত্রও সেমিকন্ডাক্টর ছাড়া চিন্তাই করা যায় না। বলা হয়ে থাকে সেমিকন্ডাক্টর আবিষ্কারের পর থেকে বিশ্বে ইলেক্ট্রনিক্স বিপ্লব শুরু হয়। এর ওপর মানুষ এখন এতোটাই নির্ভরশীল যে, ২০৪ সালে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের আকার দাঁড়ায় প্রায় ৬৩ হাজার কোটি ডলারে।
রোবোট্যাক্সির দ্রুত বিস্তার ঘটাচ্ছে গুগল
তবে এই বাজার এখন বিস্ফোরণের দ্বারপ্রান্তে। কারণ এআই, ফাইভ-জি, অত্যাধুনিক বাহন, আধুনিক উড়োজাহাজ শিল্প অতি দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, ২০৩০ সালের দিকে সেমিকন্ডাক্টরের বাজার ১ লাখ কোটি ডলারে গিয়ে ঠেকবে।
বাংলাদেশের সম্ভাবনা
এই বাজারে বাংলাদেশ এখনো প্রবেশ করেনি। তবে সম্ভাবনাময়। প্রতিবছর এদেশে বহু প্রযুক্তি প্রকৌশলী তৈরি হয়। কিন্তু অত্যাধুনিক শিল্পে তাদের কাজের সুযোগ কম। এই বাস্তবতাকেই কাজে লাগাতে চাচ্ছে উল্কাসেমি নামে প্রতিষ্ঠান। সেমিকন্ডাক্টর খাতে দক্ষ বিশেষজ্ঞ তৈরি ও কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য তারা চালু করেছে ভিএলএসআই ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। বুধবার গুলশানের নিকেতনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে এই ইনস্টিটিউট। উদ্যোক্তাদের আশা, তরুণ প্রকৌশলীদের বিশ্বমানের চিপ ডিজাইনে দক্ষ করে তুলবে ইউভিটিআই।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন উল্কাসেমি বাংলাদেশকে বৈশ্বিক জ্ঞান ও গবেষণার কেন্দ্রে নিয়ে গেছে। জানান, সরকারের পক্ষ থেকে অনেকবার ভিএলএসআই প্রশিক্ষণের কাজ করা হলেও, কিছু বাধার কারণে তা ধীরে এগুচ্ছে। তবে, বুয়েটে একটি ফ্যাবল্যাব তৈরির কাজ দ্রুত শেষ হবে। ফয়েজ আহমদ বলেন, সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্প খাতকে যুক্ত করে একটি ইকোসিস্টেম তৈরিতে কাজ করছেন তারা।
ব্যবসায়ীরা জানতে পারবেন ইন্টেলিজেন্ট অটোমেশন তথ্য
ভিএলএসআই বা ভেরি লার্জ স্কেল ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে একটি চিপে লাখ লাখ ট্রানজিস্টর যুক্ত করে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট বা আইসি তৈরি করা হয়। অনুষ্ঠানে উল্কসেমির কার্যক্রমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন প্রতিষ্ঠানের সিওও মিজান রহমান। জানান, ইউভিটিআই সেমিকন্ডাক্টর নকশায় ছয় মাসের প্রশিক্ষণ দেবেন তারা। এরপর তিন মাস প্রশিক্ষণ দেয়া হবে উল্কাসেমিতে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উল্কাসেমির সিইও এনায়েতুর রহমান। জানান, তিনি এই শিল্পে ১৮ বছর ধরে কাজ করছেন। বাংলাদেশে তাদের চালু করা ইনস্টিটিউট শুধু কর্মসংস্থান বৃদ্ধি নয়, চিপ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ও করবে। উল্কাসেমি ১০ ধরনের চিপ ডিজাইন করে বলেও উল্লেখ করেন এনায়েতুর রহমান। সেমিকন্ডাক্টর শিল্প নিয়ে বিশ্বের ৮টি দেশে কাজ করছে উল্কাসেমি।
