ইলম মাস্কের নিউরালিংকের সফলতা
শুধু চিন্তা দিয়ে কম্পিউটারে নাম লিখলেন রোগী
প্রকাশ: ১৭:৪৪, ৩ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১৭:৪৪, ৩ আগস্ট ২০২৫
 
							
											মেরুদণ্ডের এক ভয়াবহ ইনজুরি হয়েছিল অড্রি ক্রুসের। এতে পুরো শরীরই প্যারালাইজড হয়ে যায়। চিন্তা, চোখ ঘোরানো, শ্বাস নেয়া, এমন কাজই শুধু করতে পারতেন এই নারী। এক দুই বছর নয়, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বিছানায় তিনি। ইলন মাস্কের নিউরালিংকের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে অংশ নিলে, তার সাংকেতিক নাম হয় পেশেন্ট পি নাইন। এই পেশেন্ট পি নাইনই প্রথম রোগী, যিনি জনসমক্ষে ঘোষণা দিলেন, নিউরালিংকের চিপ ব্যবহারের কার্যকারিতা।
২০ বছর ধরে নিজের নাম লিখতে পারেননি অড্রি ক্রুস। এবারে পারলেন। তবে কি–বোর্ডে নয়, শুধু চিন্তাশক্তি দিয়ে।নিউরালিংকের তৈরি মস্তিষ্কে স্থাপনযোগ্য চিপের সাহায্যে এ কাজ করা সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম এক্সে নিজের সই করা একটি ছবি প্রকাশ করেন অড্রি। ছবির ক্যাপশনে লেখেন, ২০ বছর পর প্রথমবার নিজের নাম লেখার চেষ্টা করেছেন তিনি। এখনো তার অনুশীলন চলছে।
অড্রি ক্রুসের বার্তাটি শেয়ার করেন নিউরালিংকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। এর পর থেকেই বিষয়টি ঘিরে শুরু হয় আলোচনা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পোস্টটি এক কোটির বেশি বার দেখা হয়। অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেন এই ঘটনায়।
অনেকে বলছেন, প্রযুক্তির এই অগ্রগতি ভবিষ্যতে পক্ষাঘাতগ্রস্ত কিংবা চলাচলে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিতে পারে। নিউরালিংকের উদ্ভাবিত চিপ মস্তিষ্কের ভেতরকার স্নায়ুতন্ত্রের সংকেত শনাক্ত করে তা ডিজিটাল কমান্ডে রূপান্তর করতে পারে। ফলে ব্যবহারকারী হাত-পা নাড়াতে না পারলেও কেবল চিন্তার মাধ্যমে কম্পিউটার বা অন্যান্য যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
নিউরালিংক এখন ‘ব্লাইন্ডসাইট’ নামে একটি নতুন চিপ নিয়ে কাজ করছে, যার মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি হারানো ব্যক্তিরা আবার দেখতে পাবেন। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি স্বাভাবিকের চেয়েও উন্নত দৃষ্টিশক্তি দিতে সক্ষম হতে পারবে। এখন পর্যন্ত প্রযুক্তিটি শুধু বানরের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যেই মানুষের ওপর এর ব্যবহার শুরু করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।

 
															 
															 
															 
															 
															 
															 
															 
															 
															 
															 
					 
					 
					