রোববার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

| ২৪ কার্তিক ১৪৩২

ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা এবং ব্যবস্থাপনা আইন-২০২৫এর গেজেট

ডার্ক ওয়েবে ব্যক্তিগত ডাটা বিক্রির অনাচার আর নয়:ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

টেকস্ক্রল নেটওয়ার্ক

প্রকাশ: ১৪:১০, ৯ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৬:২১, ৯ নভেম্বর ২০২৫

ডার্ক ওয়েবে ব্যক্তিগত ডাটা বিক্রির অনাচার আর নয়:ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ছবি, প্রধান উপদেষ্টার টেলিকম বিষয়ক বিশেষ সহকারী

ব্যক্তিগত ডাটা বিক্রির যে অনাচারের কবর হয়েছে জানিয়ে  প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক হ্যান্ডেলের জানান, আজকের দিনের আগে এবং পরে, বাংলাদেশের নাগরিকদের উপাত্ত ব্যবস্থাপনা প্রশ্নকে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে ডিল করতে হবে আইনিভাবে। 

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা এবং ব্যক্তিগত উপাত্ত ব্যবস্থাপনা আইন-২০২৫ গেজেট আকারে প্রকাশ হয়েছে শনিবার রাতে। এরপরপরই ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ফেসবুকে লেখেন, আমরা প্রমাণ করেছি আমরা পারি, নতুন বাংলাদেশ পারে।

ডেটা গভর্নেন্স এর নতুন অধ্যায়ের এই সূচনা বিন্দুতে আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব  বলেন,  প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিডিপিআর (জেনারেল ডেটা প্রটেকশন রেগুলেশন) এর এক দশক পরে হলেও এই আইন করতে পেরেছি। তার ভাষ্য, আজকের দিনের আগে এবং পরে, বাংলাদেশের নাগরিকদের উপাত্ত ব্যবস্থাপনা প্রশ্নকে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে ডিল করতে হবে আইনিভাবে।

তিনি বলেন, প্ল্যাটফর্‌ম লায়াবিলিটির দিক থেকে, গোপনীয় এবং সংবেদনশীল ডেটা ব্যবস্থাপনার দিক থেকে, সর্বোপরি উপাত্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিনিময় এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের দিক থেকে আইন অনুযায়ী ডিল করতে হবে।

‘মানুষের ডাটা যাচ্ছেতাইভাবে ডিল করা, ডেটা বিক্রি করার বদমাইশি আজ থেকে আইনিভাবে শেষ হলো। এটা নিয়ে আওয়ামী লীগের মদদ পুষ্ট ও সহযোগী কোম্পানিগুলো, এবং কিছু ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম গুলো যে দুর্বৃত্তপনা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ঘোরতর লঙ্ঘন, যে নিরাপত্তাহীনতা এবং ডার্ক ওয়েবে ব্যক্তিগত ডাটা বিক্রির যে অনাচার বাংলাদেশে তৈরি করেছে, আজ থেকে তার কবর রচিত হলো।’ বলেন তিনি।  

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, আমরা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ব্যক্তির তথ্য উপাত্ত নিয়ে জবাবদিহি হীন আদান-প্রদান এবং অবৈধ ব্যাবসা আজ থেকে আইনিভাবে রহিত হলো। প্ল্যাটফর্‌ম সমূহের যৌক্তিক আচরণের অধ্যায়ও শুরু হলো। বাংলাদেশের ডেটা সার্বভৌমত্বকে লঙ্ঘন করে ডিজিটাল ব্যাবসা করতে পারবে না কেউ।

ডেটা গভর্নেন্স আইন থামাতে, ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন বন্ধ করতে- আমাদের এসব কাজকে ডিলিজিটিমেট করতে দেশ-বিদেশ থেকে সংঘবদ্ধভাবে প্রোপাগান্ডা চালানো হয়েছে। এজন্য আমাকে এবং আমার টিমকে প্রচণ্ড রকম যুদ্ধ করতে হয়েছে, অনেক যন্ত্রণা দেওয়া হয়েছে, এবং অপবাদ দেওয়া হয়েছে, আমরা সেগুলোতে থেমে যাইনি। বরং যারা এসব করেছে, তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে আগামীতে।

অত্যন্ত শক্তিশালী এক মোরাল নিয়ে আমরা যে কাজ করছি, এটা তাদের আবারও প্রমাণ করে ছেড়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সবাইবে ডেটা গভর্নেন্সের নতুন যুগে  স্বাগত জানান প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী। 

সূত্র: ফেসবুক হ্যান্ডেল

এ সম্পর্কিত খবর
আরও পড়ুন