শিগগির পাইলট প্রকল্প
বিটিসিএলকে ভার্চুয়াল নেটওয়ার্ক অপারেটর করার অনুমোদন
টেকস্ক্রল নেটওয়ার্ক
প্রকাশ: ০৮:১৫, ১ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১১:২৩, ২ ডিসেম্বর ২০২৫
শিগগির এমভিএনও পাইলট প্রকল্প শুরু করবে বিটিসিএল
ভাড়া করা হবে অন্যের নেটওয়ার্ক কাঠামো
বাংলাদেশে মোবাইল ভার্চুয়াল নেটওয়ার্ক অপারেটর বা এমভিএনও হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন মিলেছে বিটিসিএলের। রোববার ফেইসবুক পোস্টে এ তথ্য দেন প্রধান উপদেষ্টার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব। তিনি জানান, দ্রুতই একটি পাইলট প্রকল্প শুরু করবে বিটিসিএল।
মোবাইল সেবাদাতা অপারেটরগুলোর নিজস্ব নেটওয়ার্ক কাঠামো, তরঙ্গ, টাওয়ারসহ বেশকিছু কাঠামোগত স্থাপনা থাকে। এমভিএনও হচ্ছে এমন অপারেটর, যাদের এমন নিজস্ব কাঠামো থাকে না। অন্য অপারেটরের যন্ত্রপাতি ভাড়া নিয়ে নিজেদের নামে মোবাইল সেবা দেয়।
কম বিনিয়োগে বেশি লাভ আর হবে না
ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব লিখেছেন যে বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরে সব ধরনের টেকনোলোজি উন্মুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের আমলেই প্রথমবারের মতো ফাইভ-জি চালু হয়েছে। ভোল্টি রোল আউট পুরোদমে শুরু হয়েছে। ভয়েস ওভার ওয়াইফাই চালু হয়েছে। এছাড়া প্রাইভেট ফাইভ-জিও শুরু হচ্ছে ।
কম বিনিয়োগে এ খাত থেকে আর কেউ বিপুল টাকা তুলে নিতে পারবে না বলেও উল্লেখ করেন ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব। জানান, যোগাযোগকে কেন্দ্র করে টেলিকম খাত সব ধরনের মাফিয়ার কাছে জিম্মি। এই টেলিকম কানেক্টিভিটিকে চাঁদা বা টোলের মতো ব্যবহার করেছে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ।
ফয়েজ আহমদ বলেন, তারা আশা করেন, দেশের টেলিকম খাত ধীরে ধীরে ডিজিটাল সার্ভিস বেজড শিল্পে রূপ নেবে। যেখানে এড টেক, অ্যাগ্রো-টেক, গভ-টেক, ফিন-টেক, হেলথ-টেক, স্টার্ট আপ, ওটিটি বেজড ডিজিটাল সার্ভিসের বিপুল সম্ভাবনা তৈরি হবে। তার মতে, দেশের ডিজিটাল সার্ভিস ও ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশনের বিকাশ অনেক বাধার শিকার হয়েছে। এখানে মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ডের বাজার এখনো এমবি কিংবা জিবি কেন্দ্রিক। অথচ দরকার ছিল সেবাকেন্দ্রিক যেখানে বেসিক প্যাকেজের উপর শিক্ষার্থী, পেশাজীবী, সেবা গ্রহীতার জন্য আলাদা আলাদা প্যাকেজ থাকবে। স্পোর্টস ও এন্টারটেইনমেন্ট প্যাকেজ থাকবে, সিকিউর ইন্টারনেট প্যাকেজ কিংবা গেমিং কিংবা ডেভেলপমেন্ট কিংবা কমপিউটিং সার্ভিস থাকবে।
