ন্যানো ব্যানানা সর্বশেষ মডেল উন্মুক্ত করেছে গুগল

আরও সূক্ষ্ম নিয়ন্ত্রণ, স্টুডিও মানের ছবি

ছবি তৈরি ও সম্পাদনার জন্য নতুন প্রজন্মের প্রযুক্তি ন্যানো ব্যানানা প্রো বাজারে ছাড়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। জেমিনি থ্রি প্রোর ওপর ভিত্তি করে এই মডেলটি তৈরি করা হয়েছে।  এটি সম্পর্কে গুগল দাবি করেছে, ন্যানো বানাানা প্রো স্টুডিও মানের নকশা তৈরি, আরও সূক্ষ্ম নিয়ন্ত্রণ, পরিষ্কার ও স্পষ্ট লেখা তৈরি করতে পারে।

ইনফোগ্রাফ তৈরিতে পারদর্শী

২২ নভেম্বর শনিবার থেকে বিশ্বজুড়ে ন্যানো ব্যানানা প্রো বিনা খরচে ব্যবহার করা যাচ্ছে। জেমিনি অ্যাপে ‘থিংকিং’ মডেল নির্বাচন করে ‘ক্রিয়েট ইমেজ’ অপশন থেকে সুবিধাটি ব্যবহার করা যাবে। মডেলটি তথ্যভিত্তিক ইনফোগ্রাফিক তৈরিতে বিশেষভাবে সক্ষম বলে জানিয়েছে গুগল। আবহাওয়া, খেলাধুলা বা তথ্যনির্ভর যেকোনো বিষয়কে সহজে উপস্থাপন করতে পারবে এটি।

 ২০২৮ সালের মধ্যে কিবোর্ডের ব্যবহার বন্ধ হয়ে যেতে পারে

গত সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত প্রথম সংস্করণটি হাইপার রিয়েলিস্টিক ত্রিমাত্রিক ফিগার তৈরির সক্ষমতা দেখিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে।

প্রো মডেলে সর্বোচ্চ ১৪টি ছবি এবং ৫ জন মানুষের ছবি একত্রে ব্যবহার করে একটি যৌথ কম্পোজিশনও তৈরি করা সম্ভব। ব্যবহারকারী চাইলে ছবির নির্দিষ্ট অংশ বেছে সম্পাদনা করতে পারবেন। ক্যামেরার পরিবর্তন, বুকেহ ইফেক্ট যোগ করা, ফোকাস ও রং পরিবর্তন, দিনের দৃশ্যকে রাতের পরিবেশে রূপান্তর করা যাবে এতে।

যুক্ত হচ্ছে মেটাডেটা

নানো ব্যানানা প্রোর এসব ছবিতে মেটাডেটাও যুক্ত থাকবে। এতে ভবিষ্যতে ডিপফেক ছবি বা ভিডিও শনাক্তে এটি সহায়তা করতে পারবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া ছবি শনাক্ত সহজ করতেই এ উদ্যোগ নিয়েছে গুগল। এদিকে টিকটকও সম্প্রতি জানিয়েছে, তাদের প্ল্যাটফর্মে এআইনির্মিত কনটেন্টে ওয়াটারমার্ক যুক্ত করা হবে, যেখানে মেটাডেটা থাকবে।

 ব‍্যক্তিগত তথ‍্য কতটা নিরাপদ?