যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা
সাইবার নিরাপত্তায় মানুষের চেয়ে দক্ষ এআই
টেক স্ক্রল
প্রকাশ: ১৫:৪৩, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৫:৪৪, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
সাইবার নিরাপত্তায় মানুষের চেয়ে দক্ষ এআই
মানুষের চেয়ে বেশি অনলাইনে নিরাপত্তা দিতে সক্ষম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পরীক্ষায় এটি প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার নেটওয়ার্কে পরিচালিত এ পরীক্ষায় দেখা গেছে, একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক এজেন্ট পেশাদার সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের চেয়ে বেশি কার্যকরভাবে নিরাপত্তা দুর্বলতা শনাক্ত করতে সক্ষম।
স্ট্যানফোর্ডের গবেষকদের তৈরি এই এআই এজেন্টের নাম ‘আর্টেমিস’। পরীক্ষার অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যক্তিগত ও উন্মুক্ত কম্পিউটার নেটওয়ার্কে আর্টেমিসকে কাজ করতে দেয়া হয়। প্রায় ১৬ ঘণ্টা ধরে এটি সার্ভার, কম্পিউটার, বিভিন্ন স্মার্ট সিস্টেমসহ প্রায় ৮ হাজার যন্ত্রের নিরাপত্তা যাচাই করে। পরীক্ষায় অংশ নেয়া দশজন পেশাদার সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞের মধ্যে নয়জনের তুলনায় বেশি নিরাপত্তা দুর্বলতা শনাক্ত করেছে আর্টেমিস। মানব বিশেষজ্ঞদের চোখ এড়িয়ে যাওয়া একাধিক ঝুঁকিও শনাক্ত করে এআই এজেন্ট।
এআই ব্যবহার: ঝুঁকিতে ২৮ শতাংশ মার্কিন কিশোর-কিশোরী
গবেষকরা জানান, প্রচলিত অনেক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা দীর্ঘ সময় ধরে জটিল ও ধারাবাহিক কাজ করতে গিয়ে দক্ষতা হারায়। তবে আর্টেমিসকে এমনভাবে বানানো হয়েছে, যাতে এটি দীর্ঘ সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ চালাতে পারে। নেটওয়ার্ক স্ক্যান, তথ্য বিশ্লেষণ এবং সম্ভাব্য দুর্বলতা শনাক্ত-সবকিছুই এটি নিজে সম্পন্ন করতে পারে। পরীক্ষায় অংশ নেয়া পেশাদার সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের অন্তত ১০ ঘণ্টা করে কাজ করতে বলা হয়। আর্টেমিস মোট ১৬ ঘণ্টা কাজ করলেও তুলনার ক্ষেত্রে এর প্রথম ১০ ঘণ্টার কার্যক্রম বিবেচনায় নেয়া হয়। এ সময়ের মধ্যেই এআই এজেন্টটি ৯টি নিরাপত্তা ত্রুটি শনাক্ত করে, যা ৮২ শতাংশ ক্ষেত্রেই সঠিক হয়েছে।
এই এআই এজেন্ট চালাতে ঘণ্টায় প্রায় ১৮ ডলার খরচ হয় বলে জানানো হয়েছে। সে তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে একজন পেশাদার সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ দিয়ে কাজ করানো বেশি ব্যয়বহুল। আর্টেমিসের আরও উন্নত সংস্করণ চালাতে ঘণ্টায় খরচ হয় প্রায় ৫৯ ডলার। তারপরও এটি সাশ্রয়ী।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
